চট্টগ্রামের পশুর হাটগুলোতেও ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে। যে কারণে ছোট ও মাঝারি গরুর দাম বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে পশুর হাটের গরু বিক্রি নিয়ে বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।  

চট্টগ্রামের সাগরিকা পশুর হাটে ১৪টি গরু নিয়ে এসেছেন কুষ্টিয়া থেকে নবী ব্যাপারী। শনিবার (৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বলেন, দুপুর পর্যন্ত আমার ১০টি গরু বিক্রি হয়েছে। চারটি গরুও বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছি। যেগুলো বিক্রি করেছি সেগুলোতে ভালো দাম পেয়েছি। এতে আমি অনেক খুশি। গত বছরের তুলনায় এবছর গরুর চাহিদা ভালো। এবার গরু নিয়ে যারা বাজারে এসেছেন তাদের কান্না করে যাওয়া লাগবে না। তারা হাসি মুখেই যেতে পারবে। বাড়িতে গিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগ করতে পারবে। 

সালাম নামের এক গরুর ব্যাপারী বলেন, আমি ২৪টি গরু নিয়ে বাজারে এসেছিলাম। ১৬টি বিক্রি করেছি। এখনও বাজারে অনেক গরু বিক্রির বাকি আছে। এগুলো বিক্রি না হলে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে হবে।

বাজারে কোরবানির গরু কিনতে আসা পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হারুন বলেন, বাজারে মোটামুটি গরু আছে। তবে ব্যবসায়ীরা ছোট ও মাঝারি গরুর দাম বেশি চাইছে। গতবছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম কিছুটা বেশি।

লাভলেইন এলাকার বাসিন্দা মো. জাফর বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। এক লাখ টাকার ভেতরে গরু নিতে এসেছি, তবে দাম বেশি মনে হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু নেই বলেও মনে হচ্ছে। 
 
কেএম/জেডএস