বিকেল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ৮০ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। রোববার (১০ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আলমাস সিনেমা হলের মোড় এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এ তথ্য জানান। 

মেয়র বলেন, অনেকে এখনও পশু কোরবানি দিচ্ছেন। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেছি এখনও কোরবানি হচ্ছে। আমরা পশুর মূল বর্জ্য অনেক আগেই অপসারণ করেছি। এখন খড়কুটা, চাটাই অপসারণ হচ্ছে। তাই বলতে পারি ৮০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ শেষ করা হয়েছে। বাকি বর্জ্য সন্ধ্যার মধ্যেই অপসারণ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৫ হাজার কর্মী চট্টগ্রাম নগরীতে কাজ করছে। ৩৪৫টি গাড়ি,  ১৩০টি কনটেইনার মোভার দিয়ে আবর্জনা ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে ছয়টি জোনে ভাগ করে বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। ছয়জন কমিশনারকে ছয়টি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও নিজ নিজ ওয়ার্ড পরিষ্কার করার বিষয়টি তদারকি করছেন।

কোরবানির চামড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, উপজেলা থেকে চামড়া নিয়ে এসে অনেক সময় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারেন না। তারা অনেক কিছু চেনেন না। ফলে চামড়া বিক্রি করতে না পারলে নালা - নর্দমায় ফেলে চলে যান। তখন চামড়া পচে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। সিটি করপোরেশনকে সেগুলো পরিষ্কার করতে হয়। এইজন্য উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে তিন দিন চামড়া আনা নিষিদ্ধ করেছি। আড়তদাররা উপজেলায় গিয়ে সহজেই চামড়া কিনতে পারবে। 

তিনি বলেন, আগামীকালও কোরবানি করবে নগরবাসী। আমাদের পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত থাকা কর্মীরা আগামীকালও পরিষ্কার করার কাজে নিয়োজিত থাকবে। 

কেএম/এসকেডি