লোডশেডিং টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিক্রিয়ার সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে- এর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায়।

তিনি বলেন, জ্বালানি স্বল্পতার কারণে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে অফিসের সময় কমিয়ে ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের অন্যতম কাঁচামাল বিদ্যুৎ। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দিতে সারাদেশে লক্ষাধিক বিটিএস টাওয়ার রয়েছে যা বিদ্যুৎ দিয়ে পরিচালিত। তাছাড়া প্রত্যেকটি অপারেটরের জোনভিত্তিক অপারেশন কেন্দ্র রয়েছে যেখানে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এমনকি আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর অপারেশন কেন্দ্রগুলোও বিদ্যুৎ দিয়ে পরিচালিত হয়। লোডশেডিং করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা এখন পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বা বিটিআরসির সঙ্গে ইকো সিস্টেম গড়ে তোলার কার্যক্রম লক্ষ্য করিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সমন্বয় না থাকায় টেলিযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমান সময়ে জীবনের অন্যতম সেবার নাম টেলিযোগ ইন্টারনেট। অফিসের সময় কমানো হলে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময় কমিয়ে আনলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বহুলাংশে। তাই যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আগাম প্রস্তুতি বা প্রয়োজনে পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করতে হবে।

এএসএস/জেডএস