বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবায় অগ্রাধিকার ও মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র সামগ্রী জাদুঘর ও দেশের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।

সোমবার (১৮ জুলাই) সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর একটি প্রতিনিধি দল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি জানায়।

সাক্ষাতে প্রতিনিধিদল প্রস্তাব করে, যেহেতু বীর মুক্তিযোদ্ধারা সবাই বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত সেহেতু সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে তারা যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হয়ে কেবিন সুবিধাসহ সরকার নির্দেশিত পূর্ণ চিকিৎ‍সাসেবা পেতে পারেন, সে ব্যাপারে জরুরি সরকারি নির্দেশনা প্রয়োজন। কারণ বহু ক্ষেত্রেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হয়রানি ও অবহেলার শিকার হচ্ছেন।

প্রতিনিধিদলের আরও দাবি, জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অস্ত্র ও তাদের বিরুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর ব্যবহৃত যে সব অস্ত্র বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। সেগুলো জাতীয় জাদুঘরসহ দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক জাদুঘরে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা জরুরি। কারণ মুক্তিযুদ্ধের এই অমূল্য স্মৃতিস্মারকগুলো জাদুঘরে সংরক্ষিত হলে তা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার রক্তরঞ্জিত ইতিহাস সম্পর্কে বাস্তব ধারণা দিতে সক্ষম হবে।

পরে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা ও মুক্তিযুদ্ধের পরিত্যক্ত অস্ত্র সামগ্রী সমূহের সংরক্ষণের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্রসামগ্রী বাঙালি জাতীয় ইতিহাসের সম্পদ, কাজেই এগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত হবার দাবি রাখে। প্রয়োজনে বিদ্যমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলোতে উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্মারকগুলো সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন, ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ম হামিদ এবং যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী।

এমএইচএন/আইএসএইচ