বিমানবন্দর থেকে বিমানবন্দর রেলস্টেশন পর্যন্ত আন্ডারপাস করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী (একনেক) কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। 

এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট সচিব উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। 

প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে মেট্রোরেল। চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। মেট্রোরেলের বড় ল্যান্ডিং স্টেশনে পার্কিং স্পেস করতে বলেছেন। এছাড়া বিমানবন্দর থেকে বিমানবন্দর রেলস্টেশন পর্যন্ত আন্ডারপাস করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মেট্রোরেল প্রকল্পের ১.৬ কিলোমিটার দূরত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি বাস্তবায়ন মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দেড় বছর। আর প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ১১ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। ফলে ২১ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকার প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটিসহ মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ: ১৩ থেকে ১৭টি নতুন করে স্টেশন প্লাজার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, মতিঝিল থেকে কমলাপুর লাইনে সিভিল ওয়ার্কস ও রোলিং স্টকস মডিফিকেশন কাজ করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ভূমির পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, জেনারেল পরামর্শক খাতে জুন মাসের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, পুনর্বাসন সহায়তা পরামর্শক, মেইন লাইনে সিভিল এবং স্টেশন ওয়ার্ক কাজ করা হবে।

ইনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট কন্সালট্যান্সি, বৈদেশিক ঋণের সুদ, রোলিং স্টক অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট, প্রাইস কন্টিনজেন্সি, সিভিল এবং বিল্ডিং ওয়ার্ক কাজ করা হবে। মেইন লাইনে সিভিল এবং স্টেশন ওয়ার্ক ইত্যাদি খাতের ব্যয় বাড়ানো এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ বছর ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।

আগের প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুসারে, ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকাই ছিল জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণের। বাকি টাকা সরকারি তহবিলের। নতুন করে যে ব্যয় বাড়ছে সেখানে জোগানের জন্য জাইকা থেকে ঋণ চাওয়া হবে আরও তিন হাজার ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে আট হাজার ৪০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। নতুন অর্থ জাইকা দিলে তাদের ঋণ দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে সরকারি তহবিলের ব্যয় দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির প্রাথমিক মেয়াদকাল ছিল ১ জুলাই ২০১২ থেকে ৩০ জুন ২০২৪। তবে কাজ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্প শেষ করতে সময় লাগবে আরও এক বছর ছয় মাস। সেক্ষেত্রে এটির মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এসআর/জেডএস