পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদ্মা সেতু দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠিটি পৌঁছেছে নবান্নে মমতার দপ্তরে।

দুই দেশের দুই নেত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। তার প্রমাণ রয়েছে আনুষ্ঠানিক চিঠিতেও। ছাপার অক্ষরের পরেও নিজের হাতে শেখ হাসিনা মমতাকে লিখেছেন, ‘আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিবেন। শেখ হাসিনা।’

চিঠিতে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘আপনি ইতোমধ্যে জেনেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথে আত্মনির্ভরশীল সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। এই সেতু বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের আত্মিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

পাশাপাশিই হাসিনা মমতাকে লিখেছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দিল্লি সফরে আসছেন। সেই সফর চলাকালীন মমতার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা হবে বলে তিনি চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন। 

হাসিনা মমতাকে লিখেছেন, ‘সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ রইল। সেপ্টেম্বর ২০২২-এ আমার নির্ধারিত নয়াদিল্লি সফরকালে আপনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা রাখি। দুই বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি ও আদর্শগত সাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে বিদ্যমান সম্পর্ককে দৃঢ়তর করতে একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই।’

গত ২৫ জুন (শনিবার) বহুল প্রতীক্ষিত ‘পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ’-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। ফলে যে পথ অতিক্রম করতে ফেরিতে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা সময় লাগত এখন মাত্র ঘণ্টা খানেক সময়েই সেই দূরত্ব পার করা যাচ্ছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ থেকে সড়ক এবং রেলপথে ঢাকা যাওয়ার সময়ও অনেকটা কমে যাবে। 

সূত্র : আনন্দবাজার

জেডএস