ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের কাছে ২৪ বছরে প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ সিটি কর্পোরেশনের এ দাবি অযৌক্তিক।

বুধবার (২০ জুলাই) সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের হাতে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্সের ১০ লাখ টাকার চেক প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণস্বাস্থ্য একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সবাই জানেন যে, সবচেয়ে কম টাকায় আমরা চিকিৎসা দিই। এমনকি সরকারের চেয়েও কম টাকায়। আমাদের দাবি ছিল ঢাকা মেডিকেলসহ সরকারি অন্যান্য যে হাসপাতালগুলো আছে, তাদের কাছ থেকে যে হারে ট্যাক্স নেন আমাদের কাছ থেকে সে হারে ট্যাক্স যেন নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : এ মুহূর্তে বাংলাদেশের ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন নেই : অর্থমন্ত্রী

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বকেয়া রাজস্ব আদায়ের জন্য মেয়রের নির্দেশ রয়েছে। তাই তিনিসহ রাজস্ব কর্মকর্তা ও কাউন্সিলর এখানে এসেছেন।

তিনি বলেন, আমরা আজকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং ওনাকে জানিয়েছি গত ২৪ বছরের ট্যাক্স বাবদ আমাদের ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। জবাবে তিনি জনিয়েছেন, মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করবেন কীভাবে এ ট্যাক্স মওকুফ করা যায়।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ধানমন্ডির এ হাসপাতালটি পূর্বে দুই তলাবিশিষ্ট ভবন ছিল, পরবর্তীতে সেটি ৭ তলা, এরপর ১০তলা করা হয়েছে। কিন্তু পুরনো হারে ট্যাক্স দিয়ে আসছে গণস্বাস্থ্য।

আরও পড়ুন : মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আইএমএফের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখানে আরও সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু ওনারা এ হাসপাতালকে কমার্শিয়াল বিল্ডিং হিসেবে ট্যাক্স ধরেছেন। আমরা তো কমার্শিয়াল না। অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল যে হারে ট্যাক্স দেয় আমিও সে হার ট্যাক্স দেব। সেটি যদি এরিয়া হারেও হয় কোনো সমস্যা নেই, আমি রাজি আছি। আমাকে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় দিলেই হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, স্থানীয় ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

টিআই/এসকেডি