‘রাত ৯টায়ও দোকানপাট বন্ধ হয়নি’
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ৮টায় শপিংমলসহ দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথাও জানিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
কিন্তু বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১, ২, ৬, ১১ নম্বরসহ রূপনগর আবাসিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছুকিছু খোলা রয়েছে। মূল সড়কের পাশের দোকানপাট বেশিরভাগ বন্ধ রয়েছে, তবে গলি ভেতর অনেক দোকানই খোলা। পুলিশের টহল ভ্যান রাস্তায় সাইরেন বাজিয়ে সবাইকে দোকান বন্ধ করার অনুরোধ করছে। এসময় অনেককে পুলিশের গাড়ি দেখে তড়িঘড়ি করে সার্টার ফেলতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ পুলিশ দেখে দোকানের বাতি নিভিয়ে দিচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তবে রূপনগর থানার সামনেসহ আশেপাশে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। রাত সাড়ে ৮টা বেজে গেলেও থানার সামনের দোকনপাট খোলা রয়েছে। থানা থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলে মিল্কভিটার এলাকার রাস্তার দুপাশে দোকানপাট বিদ্যুতের আলোতেই চলতে দেখা গেছে। এছাড়া খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলা থাকতে দেখা গেছে। যদিও এসব সরকারের নির্দেশনার বাইরে।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, মিরপুর-১ নম্বর এলাকার শপিংমলসহ অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে হোটেল, রেস্তোরাঁগুলো।
বিজ্ঞাপন
মিরপুর-২ ও ৬ নম্বর এলাকায় দেখা গেছে, দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করার জন্য পুলিশের টহল গাড়ি তাগাদা দিচ্ছে।
রূপনাগর থানার সামনের শরিফ নামের এক দোকানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৮টার সময় দোকান বন্ধ করার নির্দেশনা থাকলেও আমরা একটু পরেই করি। কারণ দোকান যতক্ষণ খোলা থাকে আমাদের মুদি দোকানের বেচাকেনা চলতেই থাকে। তারপরও মাঝে মধ্যে পুলিশ এসে দোকান বন্ধ করতে বলে চলে যায়।
মিরপুর-১ নম্বরের আর্টিসানের বিল্লাল নামের এক কর্মী বলেন, রাত ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। আমাদের দোকান মেইন রাস্তার পাশে। এজন্য আমরাসহ আমাদের আশেপাশের দোকানপাট ৮টার মধ্যেই বন্ধ করতে হয়েছে। আমাদের দোকানপাট বন্ধ করতে করতে সাড়ে ৮টা বেজে যায়। তবে আমরা ৮টার মধ্যেই সব ক্লোজ করে দেই। সবকিছু গুছিয়ে বন্ধ করতে একটু সময় লেগে যায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি আমদানি কমিয়েছে সরকার। এজন্য কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনও। এ অবস্থা মোকাবিলায় সারাদেশে গত মঙ্গলবার থেকে এলাকাভেদে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পরে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয় সোমবার।
এসআর/এসএম