বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি সিদ্ধান্তে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। সে কারণে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। তীব্র গরমে ক্রেতারা চার্জার ফ্যানের জন্য ছুটলেও ফ্যান নেই অনেক দোকানে। যেগুলো আছে, সেগুলোর দামও বেড়েছে আটশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোডশেডিং বাড়ায় ঈদের কয়েকদিন আগ থেকেই মার্কেটে চার্জার ফ্যানের সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক কষ্টে কিছু ফ্যান পাওয়া গেলেও বেশি দামে কিনে আনছেন তারা।

রাজধানীর শনির আখড়ার বেস্ট ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ক্রোকারিজ গার্ডেনের হানিফ মৃধা সুজন বলেন, চার্জার ফ্যানের জন্য মানুষ যেন পাগল হয়ে গেছে। কিন্তু সব শো-রুমে ফ্যান নেই। হাতে গোনা দুয়েকটাতে আছে। এদিকে আবার ফ্যানের দামও ৭০০-৮০০ টাকা বেড়েছে।

তিনি বলেন, ১২ ইঞ্চি ফ্যানের আগের পাইকারি রেট ছিল ২ হাজার ৫৫০ টাকা, সেটা এখন ২ হাজার ৯৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর শো রুমে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২৫০ টাকায়। ১২ ইঞ্চি শরীফ স্মার্ট ফ্যান বিক্রি করেছি ২ হাজার ৭০০ টাকায়। সেটা মাঝে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। এখন ৩ হাজার ২৯০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক ৩০০-৪০০ জন চার্জার ফ্যান খুঁজতে আসছেন। কিন্তু ফ্যান নেই মার্কেটে। শরীফ হোম অ্যাপ্লায়েন্সে ৬০০ পিস ফ্যান ছিল। আমি জোর করে ৯টি এনেছি। আবার দাম বাড়ায় অনেকেই কিনছেন না। চারটি বিক্রি করেছি আজ।

হানিফ মৃধা বলেন, যারা ইমপোর্ট করেন, তাদের কাছেই ফ্যান নেই। ঈদের আগে আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন ড্যামেজড কিছু ফ্যান মার্কেটে ছাড়া হয়েছে।

চার্জার লাইটের দাম আগের মতোই জানিয়ে তিনি বলেন, চার্জার লাইটের বিক্রি কম। দামও আগের মতোই। চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তবে, এমন না যে মানুষ পাগল হয়ে গেছে।

বেস্ট ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ক্রোকারিজ গার্ডেনে চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছিলেন হায়দার কবির। ১২ ইঞ্চি ফ্যানের দাম ৩ হাজার টাকার বেশি শুনে চুপসে গেলেন তিনি।

কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ, তার ওপর এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। এদিকে ফ্যান খুঁজে পাচ্ছি না। যাও পেলাম, তাও দাম বেশি। ফ্যান মনে হয় আর কেনা হবে না।

শরীফ হোম অ্যাপ্লায়েন্সের এসআর রাশেদ খান জানান, ক্রেতার চাহিদা বেশি হলেও ঈদের আগে আগেই তাদের সব ফ্যান বিক্রি হয়ে গেছে, যে কারণে এখন ক্রেতার চাহিদা পূরণ করা আর সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমাদের গোডাউনে একটি চার্জার ফ্যানও নেই। সব বিক্রি হয়ে গেছে। মূলত ঈদের আগে থেকে শুরু হওয়া লোডশেডিংয়ের কারণে সব বিক্রি হয়ে গেছে। দোকানীরা ফ্যান চাচ্ছেন, কিন্তু আমরা সাপ্লাই দিতে পারছি না।

চাহিদা বেশি থাকায় ফ্যানের দামও বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, আগে আমাদের ১৬ ইঞ্চি ফ্যানের পাইকারি রেট ছিল ৩ হাজার ৫০০ টাকা। ঈদের আগে সবশেষ ৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি।

এএজে/আরএইচ