দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবকটি উপজেলা আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (বৃহস্পতিবার) সারা দেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২৬ হাজার ২২৯টি জমিসহ ঘর হস্তান্তর করেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সবগুলো অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে এবং এ দুটি জেলার সকল উপজেলাসহ সারা দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করছি।  

আরও পড়ুন : ‘বঙ্গবন্ধু জমি না দিলে হয়তো আমার ছেলেদের রিকশা চালাতে হতো’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় গণভবন থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ৫২ উপজেলা 
ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী।

ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোণার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, জামালপুরের বক্শীগঞ্জ। 

আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মানুষের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রাণীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট, বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া, নাটোরের বাগাতিপাড়া।

চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগঞ্জ, ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া ও বোদা। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে নদীভাঙনে ক্ষতিগস্ত ২১০টি পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রতিটি পরিবারকে ২.৫ একর করে ভূমি বন্দোবস্ত প্রদান করে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। এখন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এই ইউনিয়নের কলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫.১৫ একর অবৈধ দখল উদ্ধারকৃত জমিতে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলে, ভিক্ষুক, বিধবা ও অসহায় ১৪২টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এনআই/এনএফ