স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা পাচ্ছেন শিক্ষকরা। আর শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকারের যে সিদ্ধান্ত আসবে তা অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, শিক্ষকদের ভ্যাকসিনেট করা। শিক্ষকরা তো বেশিরভাগই ৪০ (বয়স) এর ঊর্ধ্বে আছে। কাজেই টিকা এমনিতেই পেয়ে যাবে। আমরা এখন তাদেরকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা দিয়ে দেব।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তারা (শিক্ষকরা) বয়সের কারণে এমনিতেই পাবেন। কারণ বেশিরভাগ শিক্ষকের বয়স ৪০ বছরের বেশি। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যেভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত হবে আমরা সেভাবেই কাজ করব। ১৮ বছরের নিচে যারা আছে তাদের দেওয়া যাবে না। আর ১৮ এর ওপর যারা আছে তাদের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে যে সিদ্ধান্ত আসবে আমরা সেটি ফলো করব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পাইলটদেরও আগে টিকা দিতে বলেছেন উনি (প্রধানমন্ত্রী)। তারপর ক্রু যারা আছেন, যারা পোর্টে কাজ করেন তাদেরকেও টিকা আগে দিয়ে দিতে বলেছেন এবং তারাও পেয়ে যাবেন। এ বিষয়গুলো নজরে নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৩ লক্ষাধিক মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। দেশে সোমবার পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৩ লাখ ৮ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ জন পুরুষ এবং ৭ হাজার ৮৯ হাজার ৪৪২ জন নারী রয়েছেন।

এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৩ লাখ ৬ হাজার ১৮৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ২২ হাজার ৪৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৩২ জন, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৫ জন, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১ লাখ ১২ হাজার ১৬৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৪ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন মোট ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এসএইচআর/ওএফ