প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আটক হয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলার মো. মুজিবুর রহমান নামে এক চাকরিপ্রার্থী।

জেলা প্রশাসন বলছে, মুজিবের হয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ—২০২০ এর লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দেন অন্য একজন। আর মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন পরীক্ষার্থী মুজিবুর রহমান নিজেই।

আটক মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানিহাট এলাকার ফজলুল কবিরের ছেলে।

আটকের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে  নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ  ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভাইভা বোর্ডে হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হয়। লিখিত পরীক্ষার লেখার সঙ্গে মুজিবের লেখার মিল পাওয়া যায়নি। 

বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)  আবু রায়হান দোলন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার  মিল্টন বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্টরা মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 

জিজ্ঞাসাবাদে মুজিবুর প্রক্সির কথা স্বীকার করেন। তিনি পেকুয়া উপজেলার মানিক নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ৫ লাখ টাকার চুক্তি করে আরেকজনের প্রক্সির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস বলেন, মুজিবুরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে । জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গত ২২ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে প্রতিদিন ১০০ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে।

গত ১ জুন জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পাস করা ১৫ পরীক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় আটক করে সাজা দিয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

কেএম/আরএইচ