জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্বাছ আলী মন্ডল ইন্তেকাল করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি ৭৫ উত্তরকালে দীর্ঘদিন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে মাত্র ৬৩ ভোটে পরাজিত হন, ২০০১ সালেও নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন। 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি দুই ছেলে, তিন মেয়ে ও নাতি-নাতনীসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

মঙ্গলবার বাদ আছর জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ মাগরিব নিজ গ্রাম বিল্লাতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। 

তার কনিষ্ঠ ছেলে আরিফুর রহমান রকেট বর্তমানে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তার বড় জামাতা শহীদুজ্জামান সরকার জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ছিলেন। বর্তমানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান।

প্রধানমন্ত্রীর শোক

সাবেক সংসদ সদস্য আব্বাস আলী মণ্ডলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, আব্বাস আলী মণ্ডল ছিলেন জাতির পিতার আদর্শের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী এবং জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা।

তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আব্বাছ আলী মণ্ডল জয়পুরহাটের দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর কাছে অভিভাবকতুল্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। আজন্ম নীতিবান এই অজাতশত্রু রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে জয়পুরহাটে এক চরম শূন্যতার সৃষ্টি হলো।

বিবৃতিতে তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও অগণিত শুভানুধ্যায়ীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

এইউএ/ওএফ