চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১১ যাত্রীর বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায় বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে থাকা সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাদের সবার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায় বলে জানতে পেরেছি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছি। নিশ্চিত হলে পরিচয় জানাব।

তিনি বলেন, ট্রেনের ইঞ্জিনটি মাইক্রোবাসকে টেনে প্রায় আধা কিলোমিটার সামনে বড় তাকিয়া স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায় নিয়ে গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে,  দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাটহাজারীর আমান বাজার এলাকা থেকে খৈয়াছড়া গিয়ে দুর্ঘটনায় কয়েকজন মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি।

আরও পড়ুন: মাইক্রোবাসকে এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় ট্রেন : ফায়ার সার্ভিস

এর আগে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মাইক্রোবাসটি যখন রেললাইনের কাছে পৌঁছায় তখন গেট ফেলা ছিল। রেলগেটের গেটকিপারের বরাত দিয়ে এ তথ্য দেন তিনি।

মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খৈয়াছড়া এলাকায় রেলওয়ের ওপর দিয়ে একটি সড়ক পথ গেছে। সেখানে রেলওয়ের নিযুক্ত গেটম্যানও আছে। দুর্ঘটনার পরপর গেটকিপারের সঙ্গে কথা বলেছি। গেটকিপার আমাকে জানিয়েছেন, ট্রেন আসার আগেই গেট ফেলা ছিল। কিন্তু মাইক্রোবাসের চালক গেটবারটি জোর করে তুলে রেললাইনে প্রবেশ করেন। এরপর মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।

মাইক্রোবাসের নিহত যাত্রীরা খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে।

কেএম/এসএসএইচ