চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ‘আর অ্যান্ড জে প্রাইভেট কেয়ার’ নামক কোচিং সেন্টারটিতে এখন ঝুলছে তালা, কেননা শুক্রবার (২৯ জুলাই) মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় মারা গেছেন প্রতিষ্ঠানটির চার শিক্ষক। 

হাটহাজারীর খন্দকিয়া গ্রামের যুগিরহাট এলাকায় কলেজ রোডে কোচিং সেন্টারটির অবস্থান। শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সেন্টারটি তালাবদ্ধ। অথচ দিনের এ সময়টাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকত কোচিং সেন্টারটি।

পাশেই অবস্থিত স্বর্ণের দোকানদার অমরনাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাধারণত কোচিং সেন্টারটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকত। তবে আজ সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে।  যারা এ সেন্টার পরিচালনা করতেন, তারা অনেক ভালো ছিলেন।

>> আরও পড়ুন : চার বন্ধু চালু করেছিলেন কোচিং সেন্টার, মারাও গেলেন একসঙ্গে

কোচিং সেন্টারের পাশের দোকানদার মো. শাহেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল-বিকেল তাদের সঙ্গে দেখা হতো। প্রতিদিন অনেকে ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসত। আজ কেউ আসেনি। চারজন শিক্ষক মারা গেছেন— ভাবতেই খারাপ লাগে। মাত্র দুই মাস আগে কোচিং সেন্টারটি চালু করা হয়।

কোচিং সেন্টারের ছাত্র তৌসিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন,  আমাদের শিক্ষকরা অনেক ভালো ছিলেন। তারা যত্ন করে পড়াতেন। কোচিং সেন্টারটি হয়তো এখন বন্ধ হয়ে যাবে।

>>আরও পড়ুন : এক ছবিতে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে, অন্যটিতে তারা লাশ

রাকিব খান, তৌহিদুল আলম জিসান, জিয়াউল হক সজিব ও রেদুয়ান চৌধুরী কোচিং সেন্টারটি গড়ে তোলেন।  তারাই এখানকার শিক্ষক ছিলেন। তারা চলে গেলেন একসঙ্গেই।

মারা যাওয়া শিক্ষকদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাস দুয়েক আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আমানবাজার এলাকায় তারা আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার চালু করেন। কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে খৈয়াছড়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা। ঘুরতে যাওয়ার আগে সকালে  কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোচিংয়ের সামনে একটি ছবিও তুলেছিলেন সবাই মিলে।

দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয়জন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কেএম/আরএইচ