২০১৪ সালে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে এক লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামি সৈয়দ কাশেমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা এ রায় ঘোষণা করেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, আদালত আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার কাগজপত্র ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবাসহ সৈয়দ কাশেমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালের ২০ মে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের ছয়জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৬ সালের ১৮ মে তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনুর আসামি কাশেমকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আর দুই মাস কারাদণ্ড দেন।

পরে আসামিপক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে আপিল ৫১৮০/২০১৬ দায়ের করে। হাইকোর্ট বিভাগ ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাসায়নিক পরীক্ষকের সাক্ষ্য গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে বলেন।

পরে পিবিআই রাসায়নিক পরীক্ষককে সাক্ষী করে এবং তদন্ত শেষে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষে রাসায়নিক পরীক্ষকসহ আরও তিনজন সাক্ষ্য দেন। মোট নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ  মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম দণ্ডে দণ্ডিত করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আসামির পূর্বের হাজতবাস সাজা থেকে বাদ যাবে। আজ রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কেএম/আরএইচ