রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৭৭১টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং আছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, এ লেভেল ক্রসিংগুলো দিয়ে মানুষের চলাচল বিপজ্জনক। আমরা মানুষকে এসব লেভেল ক্রসিং ব্যবহার না করতে অনুরোধ করব। দ্রুত এ অবৈধ গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার ( ১ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

রেলের এ জিএম বলেন, আগে ৯৯১টা অবৈধ গেইট (লেভেল ক্রসিং) ছিল। তবে এ অবৈধ গেটগুলোর মধ্যে ১৭৯টা গেট নতুন করে আপগ্রেড করা হয়েছে। প্রতিবন্ধকতা বা ব্যারিয়ার দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : ছেলের সনদগুলো বুকে জড়িয়ে মায়ের আহাজারি

তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো অবৈধ রেলগেট আছে। যেগুলো আমরা স্বীকার করি না সেগুলোকে আমরা অবৈধ রেলগেট বলি। যেগুলোতে আমরা ব্যারিয়ারের ব্যবস্থা করি না সেগুলোকে আমরা অবৈধ বলি। 

জিএম বলেন, বাড়ির পাশে যত্রতত্র রেলগেট না বানাতে অনুরোধ করব। প্রটেকশন ছাড়া রেলগেট একটা মরণ ফাঁদ। পূর্বাঞ্চলে যে অবৈধ রেলগেটগুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে থেকে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ রেলগেট সেগুলো আপগ্রেড হবে। সেগুলোতে ব্যারিয়ার বা প্রটেকশন সিস্টেম বসানো হবে। আর বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে।  

তিনি বলেন, রেল দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতার বিকল্প নেই। রেল লাইন দিয়ে হাঁটলে মোবাইলে কথা না বলে হাঁটা ভালো। গাড়ি নিয়ে পার হওয়ার সময় সাবধানে ও নিয়ম মেনে পার হতে হবে। 

জিএম বলেন, আমি বিশ্বাস করি, দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাসের চালক যদি বুঝতে পারতেন সামনে ট্রেন আসছে তাহলে কোনোভাবেই সামনে এগিয়ে যেতেন না। চালক সেটা বুঝতে পারেননি। অসচেতনতা হোক বা যেভাবেই হোক একটা ঘটনা ঘটে গেছে। আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করার নেই। এটা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে হবে। যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।

আরও পড়ুন : চার বন্ধু চালু করেছিলেন কোচিং সেন্টার, মারাও গেলেন একসঙ্গে

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের একটা মিটিং হয়েছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। যেখানে রেলমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় এলজিডি, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, সিডিএ, সিটি করপোরেশন হোক তারা যে লোকাল রোডগুলো করেছে সেগুলোর তালিকা যেন রেলওয়েকে প্রদান করে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন সাতজন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়।

কেএম/এসকেডি