বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচি-কাঁচা মেলার মাঠে বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এটি অনুষ্ঠিত হয়। 

জানাজায় ইব্রাহিম খালেদের ছেলে খোন্দকার সাঈদসহ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও গুণগ্রাহীরা অংশ নেন। এছাড়া সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যাংকাররা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দ্বিতীয় জানাজার জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হয়। বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে

প্রথম জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দ্বিতীয় জানাজার জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হয়। বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে শেষ শ্রদ্ধা 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৪৫ মি‌নিটে মারা যান ইব্রাহিম খালেদ। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুর খব‌রটি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়া‌রি) বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য জানিয়েছিলেন, গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন তিনি। রোববার বিকে‌ল থে‌কে তা‌কে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ইব্রাহিম খালেদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

বুধবার দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে কচি-কাঁচামেলা প্রাঙ্গণে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মরদেহ আনা হয়। দুপুর ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত কচি-কাঁচামেলার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর একের পর এক ব্যাংকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণ মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সমাজের বিশিষ্টজনরাও শোক প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা-সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

এমআই/এমএআর/