কাপ্তাই লেকের পোনা বিলীন : প্রতিবেদন চায় সংসদীয় কমিটি
পানি নষ্ট হওয়ায় কাপ্তাই লেকের পোনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিলের সুপারিশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার (৩ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিজ্ঞাপন
সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বান্দরবানে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লি. কর্তৃক লিজ ও দখল করা ৪০০(চারশ) একর জমি, তিন পার্বত্য জেলার জুমচাষিদের জীবনমানের দ্রুত উন্নতি লাভের লক্ষ্যে চা চাষ সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বিগত বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কাপ্তাই লেকের পানি বিভিন্ন কারণে নষ্ট হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কার্প জাতীয় মাছের পোনাসহ অন্যান্য মাছের পোনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে আগামী বৈঠকে একটি প্রতিবেদন দাখিলসহ কাপ্তাই লেক মাছ চাষের উপযোগী করার নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বিতভাবে মাছ চাষের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বান্দরবন পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসকের আবাসিক ভবন নান্দনিক ডিজাইনে নির্মাণসহ অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আবাসিক বহুতল ভবন নির্মাণের জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন এডিবির আর্থিক সহযোগিতায় ‘দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হয়ে মায়ানমারের সন্নিকটস্থ ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে মর্মে কমিটিকে অবহিত করা হয়।
আগস্ট মাস বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক মাস। ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের যে সব সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, দীপংকর তালুকদার, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং বেগম বাসন্তী চাকমা।
বৈঠকে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এইউএ/এসএম