টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহের সড়ক নারীর জন্য বরাবরই অনিরাপদ। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মধুপুরের বনাঞ্চলের নির্জন এলাকায় গত ১৩ বছরে চারবার চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। খুন হয়েছেন দুজন।

অপরাধীরা সহজেই পালাতে পারছে বলে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করে ৬৬টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।

কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে নারীকে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তপূর্বক দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি কমিটির।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২ আগস্ট কুষ্টিয়ার প্রাগপুর থেকে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেল থেকে খাবার বিরতি শেষে যাত্রা শুরু করলে পথে ১০-১২ জন তরুণ যাত্রীবেশে বাসে ওঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর তারা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের সকলের চোখ ও মুখ বেঁধে চালককে জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যাত্রীদের কাছে থাকা মুঠোফোন, টাকা, স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।

এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রীকে ৪ তরুণ ধর্ষণ করে। এ ধরনের বর্বর ঘটনায় সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

আমরা দেখেছি, বিগত বছরগুলোতেও বাসে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ইতোপূর্বেও এই একই রুটে ছোঁয়া পরিবহন বাসে এমন একটি পৈশাচিক ঘটনার কথা আমাদের জানা।

টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহের এ সড়কটি নারীর জন্য বরাবরই অনিরাপদ। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মধুপুরের বনাঞ্চলের নির্জন এলাকায় গত ১৩ বছরে চারবার চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। খুন হয়েছেন দুই নারী। অপরাধীরা সহজেই পালাতে পারছে বলে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, গণপরিবহন, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র নারী ও কন্যার প্রতি সংঘটিত সহিংসতার ঘটনা বর্তমানে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ঘটনাটিতে সড়ক পরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন ধরনের আশঙ্কা তৈরি হলো।

জেইউ/এসকেডি