সবাই লাইনে ছিলেন রাত ১১টা থেকে। আশা ছিল এক ঘণ্টার মধ্যে সবাই আগের দামে জ্বালানি তেল নিতে পারবেন। কিন্তু লাইনে থেকেও আগের দামে জ্বালানি তেল না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন তারা। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর এমন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে।

শুক্রবার রাতেই ঘোষণা দেওয়া হয়, জ্বালানি তেলের নতুন দাম রাত থেকেই কার্যকর হবে। এরপর থেকে ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি তেল সংগ্রহে ভিড় লেগে যায়।

আসাদ গেটের মেসার্স তালুকদার ফিলিং স্টেশনে দাঁড়িয়ে কথা হয় বাইকার রাসেলের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত ১১টা ১০ মিনিট থেকে জ্বালানি তেলের জন্য সিরিয়ালে দাঁড়িয়েছি। আমার সামনে অন্তত দেড় থেকে ২০০ মোটরসাইকেল ছিল। কিন্তু জ্বালানি তেলের ফিলিং ইউনিটের সামনে আসতে আসতে রাত ১২টা পার হয়ে যায়। ফলে নতুন মূল্য কার্যকর করে ফিলিং স্টেশনটি। লাইনে দাঁড়িয়েও আগের মূল্যে তেল না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বাইক যেহেতু চালাতেই হবে, সুতরাং ৪৬ টাকা বেশি দামে তেল নিতে হবে।

আরও পড়ুন: অকটেন ১৩৫, পেট্রোল ১৩০ টাকা

আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির খবরে রাজধানীতে পাম্প বন্ধ

আরেক বাইকার সেলিম বলেন, চোখের সামনে জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে গেল। অথচ সিরিয়ালের থেকেও তেল সংগ্রহ করতে পারলাম না। এর থেকে বড় দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে। এখন নতুন দামে তেল নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

আরেক বাইকরা নোবেল বলেন, প্রতিটি ফিলিং স্টেশনে অন্তত সাত দিনের জ্বালানি তেল মজুত থাকে। কিন্তু তারা রাত ১২টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। লাভ শুধু ব্যবসায়ীদের, ভোক্তাদের কোনো লাভ নেই।

এমএইচএন/এসএসএইচ