জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে ব্রুনাই দারুসসালামের বাংলাদেশ হাইকমিশন। 

শুক্রবার (৫ আগস্ট) হাইকমিশন অফিস প্রাঙ্গণে শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

হাইকমিশন জানায়, অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান। শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন হাইকমিশনার, অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা। শেখ কামালের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল ও অন্যান্য শহীদদের জন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বিশেষ এই দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান হাইকমিশনার।

শেখ কামালের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। যার মাধ্যমে শেখ কামাল সম্পর্কে সবাই আরও সম্যক ও গভীর ধারণা লাভ করে এবং অনুপ্রাণিত হয়।

হাইকমিশনার শেখ কামালকে বহু গুণে গুণান্বিত এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করেন। খেলাধুলা, সঙ্গীত, অভিনয়, বক্তৃতায় পারদর্শিতাসহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার প্রতিভার স্বাক্ষর বহন ও অবাধ বিচরণ তাকে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে মর্মে মন্তব্য করেন। কামালের শিক্ষাজীবন, মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বিবাহিত জীবন সম্পর্কেও হাইকমিশনার সবাইকে অবহিত করেন। 

হাইকমিশনার সবাইকে আবেগঘন কণ্ঠে জানান যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনাবসানের কারণে গোটা জাতি একজন সুযোগ্য, দক্ষ ও মানবিক নেতাকে হারিয়েছে, যার অভাব কখনো পূর্ণ হবে না।

তিনি সবাইকে শেখ কামালের জীবন থেকে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা লাভের জন্য এবং তার বিশিষ্ট ও মানবিক গুণাবলীকে ধারণ করার আহ্বান জানান।

এনআই/ওএফ