জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে গণপরিবহনের ভাড়া। ফলে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। কয়েকটি পরিবহন বাস ভাড়া বাড়িয়েছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পড়েছের দূরপাল্লার যাত্রীরা।

শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। দূরপাল্লার মামুন পরিবহন, আল মোবারকা পরিবহন, শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস চলছে না। তারা জানান, তেলের দাম বাড়ায় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সায়দাবাদে শ্যামলী পরিবহনের ৪নং কাউন্টার প্রতিনিধি মো. রনি বলেন, গতকাল (শুক্রবার) রাত ১২টা পর্যন্ত বাস ভাড়া আগের মতোই ছিল। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় নতুন করে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। দূরত্ব ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, আগে ঢাকা চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ভাড়া ছিল ৫৭০ টাকা। এখন তা বাড়িয়ে নির্ধারণ ৬৫০ টাকা করা হয়েছে। ঢাকা টু কক্সবাজার রুটে ৯০০ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। আর ঢাকা টু বরিশাল রুটের ভাড়া ৪৫০ টাকার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এভাবে দেশের প্রতিটি রুটের বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। 

এদিকে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার প্রতিনিধি ফয়সাল জানান, অন্যান্য বাসের মতো হানিফ পরিবহনও ভাড়া বাড়িয়েছে। প্রতি রুটে ৪০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বেড়েছে।

চট্টগ্রাম যেতে সায়দাবাদ আসেন আজিজুল হক। বাস ভাড়া আগের চেয়ে ৮০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা হতবাক হয়েই তিনি বলেন, কাউন্টারে গিয়ে দেখি ভাড়া ৮০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। জরুরি যেতেও হবে। এভাবে ভাড়া বাড়ালে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।

সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাস ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আজ আলোচনায় করে সিদ্ধান্ত নেব। জনগণ-সরকার ও আমাদের ব্যবসার জন্য যেটা সুবিধা হয় সেটাই সিদ্ধান্ত নেব। ডিজেলের দাম বাড়ায় রুটগুলোতে বাসের জ্বালানি খরচ আগের চেয়ে আট থেকে দশ হাজার টাকা বেশি লাগবে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজী সেলিম সরোয়ার বলেন, যারা বাস ভাড়া বাড়িয়েছে তারা নিজেদের মতো করে বাড়িয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। নতুন করে ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে আমরা বিআরটিএর সঙ্গে যোগাযোগ করব। নিজেরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

আইবি/ওএফ