৩৫ বছর আগে দেশত্যাগ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। নেই জাতীয় পরিচয় পত্র। এমনকি ভোটার তালিকায়ও নাম নেই। তারপরও তার নামে বাংলাদেশে জমি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময়ে শৈলন্দ্রনাথ মন্ডল নামের ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে এসে ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে জমি বিক্রি ও বিভিন্ন কৌশলে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করেছেন।

রোববার (৭ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন, সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র, উপসহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী ও সাদিয়া সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করেছে। তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই শেষে টিম কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, যশোর মনিরামপুর সাব-রেজিস্ট্রার রিপন মুন্সির বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণকারী শৈলন্দ্রনাথ মন্ডলের জমি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দলিল লেখক এবং রঘুনাথপুর গ্রামের স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শৈলন্দ্রনাথ মন্ডল যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাল্যকালে তিনি ভারতে গমন করেন।

সূত্র জানায়, শৈলন্দ্রনাথ মন্ডল ৩০ থেকে ৩৫ বছর যাবত ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। তার বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই এবং ভোটার তালিকায় নামও নেই। তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসে ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে জমি বিক্রি করে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

আরএম/এমএইচএস