বাংলাদেশে আর্কিটেক্টদের পেশাচর্চার ইতিহাস তুলনামূলক নতুন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা এখনও অনেকটা কম। তাই নানা সময়েই আর্কিটেক্ট ও ক্লায়েন্টদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। জনসাধারণ আর্কিটেক্ট ও ইঞ্জিনিয়ারদের পার্থক্য কিংবা আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ও স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের তফাতকে গুলিয়ে ফেলে। সঠিক তথ্য না থাকার কারণে মানুষ অপেশাদারদের হাতে কাজ দিতে বাধ্য হয়ে প্রায়ই ক্ষতির শিকার হন।

এ সব ভুল ধারণা দূর করে আর্কিটেক্টদের পেশা সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে, ‘ কানেক্টিং পিপল টু আর্কিটেকচার’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে কার্নিশ। এর উদ্দেশ্য লেখালেখি, প্রকাশনা ও বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে আর্কিটেকচারকে জনসাধারণকে কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া, সেই সঙ্গে নবীন আর্কিটেক্টদের সহায়তা করা। 

এই মিশনের অংশ হিসেবে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় অনুষ্ঠিত হলো কার্নিশ আয়োজিত প্রথম ইভেন্ট যার শিরোনাম— ‘নবীন আর্কিটেক্টদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট বিষয়ক কর্মশালা’। এই কর্মশালার সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিল আর্কিটেকচার সাস্ট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন (আশা)। ছোট পরিসরে করা এ কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন ১৪ জন আর্কিটেক্ট।

কার্নিশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও সিম্পল এজ নামক আর্কিটেকচার ফার্মের কর্ণধার, আর্কিটেক্ট মনিরুল ইসলাম মণি বলেন, নতুন আর্কিটেক্টদের রাজস্ব দেওয়া নিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করতে এ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়। তাছাড়া দেশের রাজস্ব আয় বাড়াতে এই ইভেন্টটি কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে।

আশা-এর নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন এর সাংগঠনিক সম্পাদক আর্কিটেক্ট মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, আর্কিটেক্টদের পেশাগত উন্নয়নে জরুরি সব উদ্যোগে কার্নিশের পাশে ‘আশা’ সবসময় থাকবে।

এই প্রোগ্রাম আয়োজনে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছেন অনলাইন এডুকেশন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ট্রেনিং পুলের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী নূর এ সানি। 

এই কর্মশালাটি পরিচালনা করেছেন ইনকাম ট্যাক্স ও কোম্পানি ল’ এডভাইজার আবু জাফর খান তাপস। তিনি বর্তমানে ইকুয়েশন নামের একটি ফার্মের মাধ্যমে ব্যবসা-সংক্রান্ত আইনি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।