চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
গাজীপুরের তাকওয়া পরিবহনে গত ৬ আগস্ট ভোরে চৌরাস্তা এলাকায় স্বামীকে মারধর করে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ওই বাসের চালক-হেলপারসহ ৫ জনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।
সোমবার (৮ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরীর পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, সারা দেশেই নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তবে গণপরিবহন দিনে দিনে নারীর নিরাপত্তাহীনতার ভয়ানক ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। আগে দেখা যেত রাতে বাসে একা হয়ে গেলে নারী নিপীড়নের শিকার হতো, কিন্তু এখন বাস ভর্তি লোক হোক বা স্বামী সঙ্গে হোক, কোন বিবেচনাই কাজ করছে না। সারা দেশেই নারী নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হওয়ার হার খুবই কম। গণপরিবহনেও সংগঠিত ধর্ষণ নির্যাতনের কোন উল্লেখযোগ্য বিচার বা শাস্তি হয়নি। যে কারণে নির্যাতনকারীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। এক ঘটনা আগের ঘটনার ভয়াবহতা ও বীভৎসতাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একদিকে বিচারহীনতা অন্যদিকে পুরুষতান্ত্রিক চিন্তা নারীর অবাধ চলাচলকে ব্যাহত করছে। সমাজের সর্বত্র নারীকে ভোগের সামগ্রী করে উপস্থাপন করার অশ্লীল প্রতিযোগিতা চলে। একের পর এক ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে কিন্তু এর প্রতিকার করতে সরকারের কোন তৎপরতা নেই।
বিজ্ঞাপন
সেখানে বলা হয়, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য প্রয়োজন সামাজিক সাংস্কৃতিক রুচি ও মূল্যবোধের পরিবর্তন। প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। নারীরা এখন বাইরে অনেক ধরণের কাজ করে। তাই তার জন্য নিরাপদ গণপরিবহন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেক্ষেত্রে পরিবহনের সাথে যুক্ত শ্রমিক কর্মচারীদের নৈতিক সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি ও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের নানা ধরণের কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। আর গণপরিবহনে নারী নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এমএইচএন/আইএসএইচ