সরকারি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করলে ১০ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ঔষধ আইন ২০২২-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : ক্রয় কমিটিতে ৭৬৪ কোটি টাকার তিন প্রস্তাব অনুমোদন

পরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান। 

আরও পড়ুন : ভারতের হাসপাতালে বাংলাদেশের সরকারি ওষুধ!

তিনি বলেন, এটা অনেক বড় আইন। এটার অনেক বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ মেনশন করা আছে বিশাল। এই আইনে ১০৩টা ধারা আছে। ওষুধ প্রশাসন কীভাবে হবে, ওষুধ প্রশাসনের কার্যক্রম কী হবে, ওষুধ প্রশাসন মান কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, এটার একটা এক্সিকিউটিভ বডি থাকবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুত, বিতরণ ইত্যাদির লাইসেন্স কীভাবে দেবে, ফি কেমন হবে, যোগ্যতা কি থাকবে লাইসেন্স পাওয়া এগুলো তারা ঠিক করবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স গ্রহীতার লাইসেন্স আবার যদি কেউ ভুল করে বা অন্যায় কিছু করে কীভাবে তার লাইসেন্স স্থগিত করা যাবে সেটাও এই আইনে উল্লেখ করা আছে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো ওষুধ আমদানি করা যাবে না। 

আইনের খসড়ায় একটা ব্যাপক শাস্তির কথা বলা রয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ৫৪ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ২২টি ধারায় এ শাস্তির কথা বলা আছে। মন্ত্রিসভা থেকে এগুলো একটা অবজারভেশন দেওয়া হয়েছে যে, এতগুলো ধারাতে শাস্তি না দিয়ে এটাকে গ্রুপ করে গ্রুপে অল্প কয়েকটাতে আনা যায় কি না। 

এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা কি- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা।

তিনি বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কেউ যদি ওষুধ আমদানি করে তাহলে তার ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুত করলে সেখানেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের জেল। এছাড়া সরকারি ওষুধ চুরি করে যদি কেউ বিক্রি করে তাহলে তারও ১০ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। 

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক জেলা সদরে একটা করে আদালত থাকবে। ড্রাগ অথরিটি তারাই তদন্ত করবে যেহেতু এটা টেকনিক্যাল বিষয়। তদন্তটা তারা করবে। 

এসএইচআর/এনএফ