মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সারওয়ার আলী বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈর্ষণীয় অগ্রগতি করেছেন বাংলাদেশের। এসময়ে জাতীয় আয় বেড়েছে, ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম - মুক্তিযোদ্ধা ৭১ এর উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সারওয়ার আলী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সফলতা আমাকে আশাবাদী করে। ২০০৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শবাদী দল ক্ষমতায় আছে, কিন্তু অপশক্তিরা বসে নেই। তারা ভিন্ন কৌশলে সাম্প্রদায়িকতার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই রামু, নাসিরনগর, সুনামগঞ্জসহ নড়াইলের ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। এগুলো কঠোরভাবে দমন করা উচিত।

আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবসে সরকারি কর্মসূচি

তিনি বলেন, শোকের মাস চলছে, আর একদিন পর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর কাছে তিন বার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। একটি অভিজ্ঞতার কথা বলি, সম্ভবত ১৯৭৩ সালের ঘটনা। আমি তখন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক। তখন বঙ্গবন্ধু একবার ঢাকা মেডিকেল এলেন কোনো একজন রোগী দেখতে। স্বচক্ষে মেডিকেলের দুরবস্থা দেখে তিনি প্রেসের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। তারপর আমরা এর প্রতিবাদে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে সভা করি। এরপর প্রায় ২০০ চিকিৎসকের একটি মিছিল নিয়ে গণভবনে যাই। কোনো বাধা ছাড়াই আমরা ভেতরে ঢুকে গেলাম। কোনো প্রহরী নেই। বঙ্গবন্ধু পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি পরে আমাদের সামনে এলেন। দেখুন, তিনি সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিয়ে কতটা ভাবতেন। আর একটা বিষয় আমার ভীষণ মনে হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কতটা নিরাপত্তাহীন ছিলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক অতিরিক্ত আইজি নুরুল আলম, সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, অধ্যাপক ঝর্ণা রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, সাংবাদিক হারুন হাবীব, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক (অব.) মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী পিএসসিসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।

আইবি/এসএসএইচ