রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডারের নিচে চাপা পড়া প্রাইভেটকার থেকে ৩ ঘণ্টা পর শিশুসহ নিহত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার কাজে দেরি হওয়ার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, এক্সক্যাভেটর আসার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাই দেরি হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ঢাকা জোন- ৩) সাইফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, গার্ডার পড়ে যাওয়ার খবরে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে উত্তরা ফায়ার স্টেশন থেকে আমাদের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং আমাদের প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হই। এসে দেখতে পাই গাড়িটি ১৫০ টন ওজনের গার্ডারের নিচে পড়ে আছে। আমরা সে সময় আমাদের যেসব স্পেশাল ইকুইপমেন্ট আছে, সেগুলো দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি। যেহেতু গার্ডার ১৫০ টন ওজনের, তাই আমাদের ইকুইপমেন্ট দিয়ে কাজ করতে পারছিলাম না। যখন ক্রেন ও এক্সক্যাভেটর আসে তখন আমরা গার্ডার সামান্য উঁচু করে ওই গাড়ি থেকে দুই শিশু, দুই নারী এবং একজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করি।

 

উদ্ধার কাজে দেরি হওয়ার বিষয়ে সাইফুজ্জামান বলেন, এক্সক্যাভেটর আসার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা বিআরটি কর্তৃপক্ষের এক্সক্যাভেটর ছিল। এটি আসতে দেরি করায় উদ্ধার কাজে দেরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ ৫ জন নিহত হন। আহত হন আরও দুইজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিআরটি প্রকল্পের জন্য নির্মিত গার্ডার একটি ক্রেন দিয়ে সরানো হচ্ছিল। এসময় গার্ডারটি হঠাৎ করে রাস্তায় চলমান প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে যায়। গার্ডারটি ক্রেন থেকে ছুটে যায়নি, বরং এর ভারে ক্রেনের একপাশ উল্টে যায়।

ধারণা করা হচ্ছে ক্রেনটির ধারণক্ষমতা কম ছিল কিংবা চালক ভুলভাবে সেটি অপারেট করেছেন।

এএসএস/এমএইচএন/এসকেডি