জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্বে পদার্পণ করত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। 

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশ থেকে স্বাধীনতার মূলস্তম্ভ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএমএ ভবনে জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টে নিহত সবার আত্মার শান্তিকামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএমএ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে জাতির পিতা বিশ্বের ১২৭টিরও বেশি দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেন। এছাড়া জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অনেকগুলো সংগঠনের সদস্য হওয়াসহ বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৫ আগস্টে ওই হত্যাকাণ্ড না ঘটলে বাংলাদেশ হয়ত আজ উন্নত বিশ্বে পদার্পণ করত।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ বেঁচে না থাকলেও তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন ছুঁয়ে উন্নত বিশ্বের সদস্য হবো।

বিএমএ জানিয়েছে, জাতীয় শোক দিবস ঘিরে সকালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে ঘাতকের গুলিতে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া মাহফিলসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে বিএমএ সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের রাসেল স্কয়ারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরে বিএমএ নেতৃবৃন্দ বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নিহত বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সবার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও বিশেষ মোনাজাত করেন।

এর আগে ভোরবেলা তোপখানা রোডস্থ বিএমএ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়, পাশাপাশি আসরের নামাজের পর বিএমএ ভবনে ১৫ আগস্টে নিহতের সবার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান ও দুস্থদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমএর সহ-সভাপতি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা. মো. জামাল উদ্দিন খলিফা, কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. মো. শফিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তারিক মেহেদী পারভেজ, প্রচার সম্পাদক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বাবু, সাংস্কৃতিক ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ডা. পূরবী রানী দেবনাথ, দপ্তর সম্পাদক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ, কার্যকরী পরিষদ সদস্য, ডা. কাজী শফিকুল হালিম জিম্মু, ডা. মো. বাবরুল আলম, ডা. মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ, ডা. জহিরুল হক, ডা. হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান রিজভী, ডা. মো. জাবেদসহ বিএমএর অন্যান্য নেতারা।

টিআই/আইএসএইচ