চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নের ধলই বাজারে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে ভাই-বোনকে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে বখাটেরা। এ সময় তাদের ছাড়াতে এসে মারধরের শিকার হন তাদের বাবাও। 

পরে দুজনকে আটক করলেও ইউনিয়ন পরিষদে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের এক কনস্টেবল।  

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহম্মদ। 

তিনি বলেন, কিছু বখাটে ছেলেপেলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার পথে ইভটিজিং করে। মেয়েদের সঙ্গে কোনো ছেলেকে কথা বলতে দেখলে ওদের আটকে রেখে মুক্তিপণ চায়, মারধর করে। ছেলেগুলো মেয়েটিকে কয়েকদিন ধরে ডিস্টার্ব করছিল। পরে আজ মেয়েটি তার ভাইকে নিয়ে আসে। 

ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আসার পর বখাটেরা মনে করে মেয়েটি তার প্রেমিককে নিয়ে আসছে। এরপর দুইজনকে একটি দোকানে নিয়ে আটকে রাখে। তখন ছেলেটিকে মারধর করে ও মেয়েটিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনা  শুনে বাবা এলে তাকেও মারধর করে। 

তিনি বলেন, বিষয়টি দেখে টহল গাড়ি থেকে নেমে একজনকে আটক করি। এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান একজনকে আটকে রেখে আমাদের খবর দেন। আমরা চেয়ারম্যান অফিসে তাকে আনতে যাই। তখন বখাটে সাকিব, মেহেদি, এমরান, তারেকসহ সহযোগীরা এসে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়, চেয়ারম্যান অফিস ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে দুজনকে নিয়ে যায়। তাদের বাধা দিতে গিয়ে আমাদের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। 

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, তারা ইউনিয়ন পরিষদ অফিস ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ইউনিয়ন পরিষদে হামলার বিষয়ে ধলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল মনছুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, বখাটেদের ছাড়িয়ে নিতে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা করেছে। হামলাকারীরা এলাকায় বখাটে নামে পরিচিত। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানাই।

কেএম/আরএইচ