রেলভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

জনবলের অভাবে ১৩৭টি রেলস্টেশন বন্ধ রয়েছে জানিয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সংকট কাটাতে ১০ থেকে ১২ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগের জন্য চলতি মাসেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে রেলের জনবল ঘাটতির অভিযোগ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারব।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ওয়াটার এইডের মধ্যে রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন স্থানে আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও সংস্কারসহ পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং পারস্পরিক শিখন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, রেলের অবকাঠামোতে উন্নয়ন করা হবে। সব রেলপথ ডাবল না হওয়া পর্যন্ত রেলের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকেই যাবে। রেলস্টেশনগুলোতে পরিবেশবান্ধব ওয়াশ পরিষেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এরইমধ্যে রেলওয়ে এবং ওয়াটার এইডের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। কমলাপুর স্টেশনে দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে ধীরে ধীরে তা অন্য স্টেশনগুলোতে নিয়ে যাওয়া হবে।

যাত্রীদের সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

রেলপথমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ও সময়সূচি রক্ষা করে পরিচালনার জন্য ডাবল লাইন নির্মাণ করা জরুরি। একটি লাইনের ওপর ট্রেন চলার ফলে গতি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবাও দেওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। 

অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কমলাপুরে দুটি ও বিমানবন্দর রেল স্টেশনে মোট তিনটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও সংস্কার করার কাজের উদ্বোধন করা হয়। এই তিনটি পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থাপনার সফল মডেল যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন এবং পারস্পরিক শিখন কর্মসূচি বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশ  ভবিষ্যতে একযোগে কাজ করবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, সিনিয়র ডিসেন্ট্রালাইজেশন ও ওয়াশ স্পেশালিস্ট শান্তনু লাহিড়ী।

পিএসডি/জেডএস