প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের নির্যাতিত ও মুক্তিকামী মানুষের সাহসী কণ্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। 

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) প্রবাসী কল্যাণ ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুই বাঙালির মহানায়ক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। তিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ ও জাতি উপহার দিয়েছেন। তিনি ধাপে ধাপে আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। যার ফলে মাত্র ৯ মাসের মাথায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার দেশের জন্য অবদান রেখেছেন। 

ইমরান আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য একটি রত্ন রেখে গেছেন, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সাবেক প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রতীক। একমাত্র বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখেই বাঙালিরা জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের স্বপ্ন দেখেছিল। কোটি কোটি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা একমাত্র বঙ্গবন্ধুরই ছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়তে চেয়েছিলেন। তার উন্নয়ন ভাবনা আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। 

সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে শুধু স্বাধীন সার্বভৌম দেশই উপহার দেননি; তিনি আমাদেরকে আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি ও সাহস দিয়েছেন। তিনি আমাদের স্বপ্ন দেখতে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে শিখিয়েছেন। এছাড়াও শিখিয়েছেন কীভাবে দেশপ্রেমিক হওয়া যায়।

স‌চিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও অসীম সাহসিকতার পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মতো দুরূহ মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আমাদেরকে মনে প্রাণে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করতে হবে এবং প্রাত্যহিক জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠা‌নে আরও বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

এনআই/ওএফ