বিয়ে ও গর্ভধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নারীর আছে
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, একজন নারী কখন বিয়ে করবেন, কাকে বিয়ে করবেন, কখন গর্ভধারণ করবেন এসব বিষয়ে ওই নারী সিদ্ধান্ত নেবেন। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার আছে। কিন্তু বর্তমানে দেশের অনেক অঞ্চলে নারীরা এসব অধিকার থেকে বঞ্চিত।
শনিবার (২০ আগস্ট) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, যে দেশে অর্ধেক নারী সে দেশে নারীকে বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘের ৭৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মস্থলে নারীর কর্মসংস্থান ফিফটি-ফিফটি উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাতির পিতা সর্বপ্রথম নারীদের গুরুত্ব অনুধাবন করেন। জাতির পিতা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রকল্প মা, নবজাতক ও শিশু-কিশোর স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি এবং যক্ষ্মা বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজের একটি সমন্বিত প্রয়াস। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উজ্জীবন প্রকল্প বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করছে। এ লক্ষে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধিতে উজ্জীবন প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন পেশা ও বয়সের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেছেন।
এসএইচআর/এসকেডি