স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানানোর জন্য একটি গোষ্ঠী প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। কারণ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অযথা মানুষের মধ্যে প্যানিক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। 

শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

দেশের জনগণকে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার এবং দেশের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে দেশে উন্নয়ন কাজে বিনিয়োগ করেছে। সরকার অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্প থেকে আউটপুট আসা শুরু করলে ঋণ পরিশোধ করা সহজ হবে। সব উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশ এভাবেই নিজেদের উন্নয়ন করে থাকে।

মুসলমান ও হিন্দুসহ সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশ নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মানুষ একসময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন‌ করতে পারছে। সব বৈষম্য নিরসন করেছেন। 

ধর্ম যার যার উৎসব সবার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে সব ধর্মের মানুষের জন্য। তাই সব মানুষ সমান‌ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণের দল। এই দল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে। ধর্মের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। সবার রক্তের রং লাল। সব মানুষের অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান ও নিরাপদ জীবন-যাপন নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দল এবং শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে সব মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে এবং বাংলাদেশ কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্র মণ্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এছাড়া অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দ্বোরাইস্বামী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

এসএইচআর/জেডএস