উত্তরায় গার্ডার চাপায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে চলমান সবকটি বিআরটি প্রকল্পের নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ করছেন কর্মীরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি জোর দিয়ে করা হচ্ছে।

রোববার (২১ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়, রোড সাইডগুলোতে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির কাজ করছেন কর্মীরা। এজন্য প্রথমে রড দিয়ে মেপে ফ্রেম তৈরি করা হচ্ছে। তার ওপর লাগানো হচ্ছে নীল রঙের টিন। যেখানে এই মুহূর্তে নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই, সেখানে বড় বড় হলুদ রঙের সাইনবোর্ডে লাল রঙে শোভা পাচ্ছে ইরেজিতে ‘ওভারহেড ওয়ার্ক, নো পাসিং’ এবং বাংলায় ‘সাময়িকভাবে চলাচল বন্ধ, উপরে কাজ চলছে’।

সেখানে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ আগস্টের দুর্ঘটনার পর থেকেই তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জোরালোভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করার। আগেও নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল, তবে মানুষ সেগুলো খেয়াল করত না। মানুষ ওয়ার্কিং এরিয়ায় চলে আসতো। তবে এখন যে কাজ করা হচ্ছে, এরপরে আর কেউ এই প্রকল্প এলাকায় ঢুকতে পারবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেদিন উত্তরায় দুর্ঘটনা ঘটেছে তারপর থেকেই আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে আরও জোর দিয়ে কাজ শুরু করেছি। যেহেতু অনেক বড় প্রকল্প, তাই যে এলাকায় মানুষের সমাগম সবচেয়ে বেশি ওই এলাকায় আগে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব জায়গায় নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে।

গত ১৫ আগস্ট বিআরটির ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহত হন। পরের দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া সব কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এমএইচএন/জেডএস