ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহৃত এক ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রোববার (২১ আগস্ট) র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, শনিবার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, কজন দুষ্কৃতকারী ভুক্তভোগী মো. শাহ্ পরানকে (৪২) আটক করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিসহ মারধর এবং তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।

ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু করে ঘটনার সত্যতা পায়। দলটি রোববার সকাল ৬টার দিকে আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারপূর্বক আটজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, হাছনারা (২৪), অঞ্জনা ভূঁইয়া (৪৫), মতিউর রহমান (২৮), নাজমুল হুদা (১৫), সরদার নজরুল ইসলাম (২৮), সাব্বির মিয়া (১৯), মোছা. জান্নাত (২২) ও মোছা. জামিলা ওরফে নুসরাত (১৮)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে হাছনারা আক্তারের সঙ্গে শাহ্‌ পরানের পরিচয় সূত্রে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে হাছনারা শাহ্ পরানকে দেখা করার জন্য আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ডেকে নিয়ে যান। 

হাছনারা কৌশলে শাহ্ পরানকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রেখে মারধর করেন। এ ছাড়া আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিসহ মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, তারা পরস্পর যোগসাজশে ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ সরল ছেলেদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে কৌশলে সখ্যতা তৈরি পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে দেখা করার কথা বলে বাসায় এনে মারধরসহ আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে হুমকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন।

এ চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব-৪ তৎপর রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। 

জেইউ/আরএইচ