সিজিএস আয়োজিত ওয়েবিনার

জলবায়ু পরিবর্তনের বড় দায় গুটি কয়েক দেশের বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী আতিক রহমান। তিনি বলেন, অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে নিঃসরণের মাত্রা কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ওয়েবিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। আতিক রহমান সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক।

ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি আর্কিটেক্ট মোবাশ্বের হোসেন এবং বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও সিজিএস-এর চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

ওয়েবিনারে ড. আতিক রহমান বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম একটি দেশ যাদের জলবায়ু বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় রয়েছে। এদেশের মানুষের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সংগ্রামী প্রবণতা প্রশংসনীয়। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এ খাতে আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

আর্কিটেক্ট মোবাশ্বের হোসেন ভূগর্ভস্থ পানির ওপর জোর না দিয়ে বৃষ্টির পানির সংরক্ষণের তাগিদ দেন। তিনি দেশের মানুষ কীভাবে বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াচ্ছে বা ভবিষ্যতে কিভাবে খাপ খাওয়াবে তার ওপর প্রাধান্য দিয়ে গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জনগণ ও সরকারকে সম্মিলিতভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন পরিবেশকে ক্ষতির মুখে ফেলে না দেয়।

ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ওপর অবিচার হচ্ছে। তাপমাত্রা যদি এক ডিগ্রি বাড়ে তাহলে বাংলাদেশের ১১ থেকে ১৫ শতাংশ জায়গা পানির নিচে চলে যেতে পারে। পাশাপাশি লবণাক্ততা ও ঘূর্ণিঝড়ের বেড়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক প্রবণতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।  
 
ওয়েবিনারে ইউএনডিপির সহযোগিতায় “সার্চিং ওয়েস ফরোয়ার্ড ফর বাংলাদেশ ইন দ্যা টাইম অব প্যানডেমিক : ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট চ্যালেঞ্জেস ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক পলিসি ব্রিফ প্রকাশ করা হয়।

এইচকে