অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে আজ (সোমবার) রাতে তার কারামুক্তি হলেও তিনি হাসপাতালেই থাকছেন। 

সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) ডেপুটি জেলার মুহাম্মদ আব্দুস সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাটের জামিনের কাগজপত্র পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি, তাকে রিলিজ দিয়ে রাতের মধ্যে রিলিজের কাগজ হাসপাতালে পৌঁছে দিতে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্রাটের বিষয়ে আজ রাতে আর কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। কারাগার থেকে আমাদের কাছে তার জামিন সংক্রান্ত নথি পৌঁছায়নি এখনো। তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এখনো চিকিৎসকরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তিনি যে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তারা কাল সকালে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের কাছে কাগজপত্র পৌঁছালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, যদি আজ রিলিজ পেপার হাসপাতালে পৌঁছায়, তবে সম্রাট যে প্রিজন সেলে রয়েছেন, সেখান থেকে কারারক্ষীরা সরে যাবেন। তিনি মুক্ত হয়ে যাবেন। তবে হাসপাতাল থেকে তিনি কখন ছাড়া পাবেন, সেই সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের। 

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। অসুস্থ বিবেচনায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। কারাগারে যাওয়ার ৩১ মাস পর মুক্তি মেলে তার।

তবে এক সপ্তাহ পর ১৮ মে হাইকোর্ট জামিন বাতিল করে তাকে আবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিলে আবার তার বন্দিজীবন শুরু হয়।

এমএসি/আরএইচ