রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া নিখোঁজ ইয়াশা মৃধা সুকন্যার সন্ধান মিলেছে।

তবে তিনি অভিযোগ করে জানান, তার পরিবার তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চায়। টাকার বিনিময়ে তাকে বিক্রি করে দিতে চায়।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এসব জানান সুকন্যা।

তিনি বলেন, আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই। তবে তারা আমাকে টাকার বিনিময়ে বিয়ে দিতে চায়। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আমার মা আমাকে অনেক নির্যাতন করেছেন। বিয়ে করার জন্য জোর করা হচ্ছিল। মা আমাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে চাইছিলেন। রাতে আমি ভয়ে ঘুমাতে পারতাম না। আমাকে বালিশ চাপা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নানার বাড়ি গেলে, তারাও আমাকে একই কথা বলতেন। বিয়েটা করে ফেল। সাড়ে ৩ লাখ টাকা পাবি। লাগলে আরও টাকা বাড়িয়ে দেবে।

এদিকে সুকন্যা নিখোঁজের ঘটনায় তার মায়ের দায়ের করা মামলায় তার বন্ধু ইসতিয়াক এখন কারাগারে। এ বিষয়ে সুকন্যাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার বন্ধুর কোনো দোষ নেই।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ (এডিসি) বিশু বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থী সুকন্যার সন্ধানে আমরা কাজ করছি। আমরা শুনেছি সে আজ সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে শেষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছে কিন্তু কোথায় গেছে তা আমরা জানি না। আমরা তার সন্তানে কাজ করে যাচ্ছি

এর আগে, শনিবার (২০ আগস্ট) নিখোঁজ ইয়াশার মা নাজমা ইসলাম লাকী একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি মেয়ের সন্ধান চাই। আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার মেয়ের নাকি মানসিক সমস্যা। আবার ফোনে মেসেজ আসে আমার মেয়েকে নাকি মিরপুর ১, কখনও মিরপুর ১০-এ কখনও মিরপুর-১৪ তে নাকি দেখা গেছে। আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজ পাইনি। সংশ্লিষ্ট থানা থেকেও বলছে এই ধরনের মেয়ে এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, আমি আমার মেয়েকে জীবিত অবস্থায় শুধু ফিরে পেতে চাই। কোনো বিচার চাই না, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাই না।

এমএসি/জেডএস