বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের শেষ সময়ে এসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন মোড়ে পুলিশসহ মোটরসাইকেল ও বাসচালক এবং হরতাল সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে বাস ও কয়েকটি গাড়ি চলে গেলে প্রথমে হরতাল সমর্থকরা বাধা দেয়। এ সময় বাধা উপেক্ষা করে যেতে চাওয়া গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা চালায় তারা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ, চালক ও হরতাল সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।

পল্টন মোড় থেকে সচিবালয়ের দিকে এক কর্মকর্তার গাড়ি যেতে চাইলে হরতাল সমর্থকরা প্রথমে বাধা দেয়। পুলিশ তাদের ব্যারিকেড ভেঙে গাড়িটি পার করে দিতে চাইলে সমর্থকরা প্রথমে গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আরেকটি পরিবহন ব্যারিকেড ভেঙে গুলিস্তানের দিকে যেতে চাইলে ওই পরিবহনে ভাঙচুর চালায়। জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। তখন পুলিশ, চালক ও হরতাল সমর্থকদের মধ্যে আরেক দফা ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন হরতাল সমর্থক সামান্য আহত হয়েছেন।

একই স্থানে আজমেরী পরিবহনের একটি বাস হরতালকারীরা আটকে দিতে চাইলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় এক নারী যাত্রী জানালা দিয়ে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে আওয়ামী লীগের এক নেতা গাড়ি নিয়ে পল্টন মোড় দিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যাওয়ার পথে বাম জোটের বাধার মুখে পড়েন। গাড়িতে থাকা যুবলীগের দুই কর্মী নেমে এসে জোরপূর্বক যেতে চাইলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় হাতাহাতির ঘটনায় হরতাল সমর্থকের একজনের জামা ছিঁড়ে যায়। 

এ সম্পর্কে বাসদ জাতীয় কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দিন প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করতে চাইলে আমাদের (বাম জোট) নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। 

এএইচআর/ আইবি/ওএফ