ইভিএম প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সৈয়দ রাকিবুল হাসান

জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে বড় প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ইভিএম প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সৈয়দ রাকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের কেনাকাটা আছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কেনাকাটার সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলব। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আমরা প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়ে দেবো। প্রকল্প অনুমোদন হলে কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু হবে, এমনটা আশা করতে পারি।

তিনি বলেন, বিএমটিএফ এ বিষয়ে অভিজ্ঞ। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। মেশিনগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে পাব। তারপর আস্তে আস্তে মাঠ পর্যায়ে পাঠাব। ইভিএম সংরক্ষণের জন্য ৩০টি জেলায় বাসা-বাড়ি ভাড়া নিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় মাঠ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। নতুন প্রজেক্টে ওয়্যারহাউজ তৈরির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তা নাহলে বিকল্প পন্থায় যাব।

পিডি জানান, বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম আছে। নষ্টের পরিমাণ জানার জন্য মাঠ পর্যায়ে চিঠি দিয়েছি। সংশ্লিষ্টরা তথ্য পাঠাবে। যেহেতু পাঁচ বছর হয়েছে। আমরা দশ শতাংশ নষ্ট ধরতে পারি। যেসব মেশিন অচল বা নষ্ট হয়েছে, সেগুলো ওই রকম নষ্ট হয়নি। মেইনটেনেন্সের জন্য যে চুক্তি আছে, তাতে বিএমটিএফ নষ্ট মেশিনগুলো সচল করে দেবে।

তিনি বলেন, ইভিএম সংরক্ষণ করাটা চ্যালেঞ্জ। সেটা মাঠ পর্যায়ে সেভাবে ওভারকাম করা হয়নি। তবে সচিবালয় চেষ্টা করে যাচ্ছে। মাঠ কর্মকর্তারাও যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। বিএমটিএফের স্টোরেজটা স্ট্যান্ডার্ড। সেভাবে আমরা ওয়্যারহাউজ করার চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছি, যেন মাঠ পর্যায়ে রাখা যায়।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, আগের প্রজেক্ট ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ছিল। এটা তো পাঁচ বছর আগের ছিল। ইভিএমে কেনাসহ অন্যান্য ব্যয়। এবার কিছু তারতম্য হবে। টোটাল কস্টিং করতে পারিনি। সেপ্টেম্বরে হয়তো বলতে পারব, বিষয়টি নিয়ে এখনও কাজ করছি। নতুন প্রকল্পে যে ইভিএমগুলো আসবে, এতে নতুন করে কোনো সংযোগ হচ্ছে না। এটা পারফেক্ট মেশিন। এটার মধ্যে সংযোগ-বিয়োজনের প্রয়োজন নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫০ আসনে বলতে মোট কত ভোটারের জন্য ইভিএম ব্যবহার করা হবে তার ওপর নির্ভর করবে মেশিন কতটি লাগবে। সব আসনে ভোটার সংখ্যা সমান নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে সচিবালয় কাজ করছে। শিগগিরই হয়তো বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

এসআর/এমএইচএস