বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, বাঙালি ভয় পাওয়ার জাতি নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা হবে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতিবাচক দিকগুলো মোকাবিলায় সর্বস্তরের মানুষের সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, দেশে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে এবং সেখান থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকেও ধাপে ধাপে রোবটিক সভ্যতা গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শ্রমিকের বিপদ হবে না। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও হিউম্যান পাওয়ার— এই তিনে মিলেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্জিত হবে।

আরও পড়ুন: সাভারে দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর

অনুষ্ঠানে জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের ২৫ দফা ঢাকা ঘোষণা পেশ করা হয়। ‘ঢাকা ঘোষণাপত্র’ পেশ করেন নলেজ বেজড সোশ্যাল মুভমেন্ট (কেবিএসএম)-এর সভাপতি এম এ বার্নিক।

২৫ দফা ঢাকা ঘোষণায় বলা হয়েছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ছোঁয়ায় সবকিছু অটোমেশনের কারণে অনেকেই পেশা থেকে ছিটকে পড়বেন। তাই কীভাবে কি হবে তার পরিকল্পনা নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান বলেন, অটোমেশনের প্রথম স্তরে আছে বাংলাদেশ। শিল্প বিপ্লবের উপযোগী শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা চুক্তি হয়েছে জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময়ে, এর ফলে দেশের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

সাইবার নিরাপত্তার দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে অনেক দেশে আর্থিক লেনদেন ভঙ্গুর। হ্যাকিং প্রতিরোধের কৌশলে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আরও বক্তব্য দেন প্রকৌশলী ওমর ফারুক খন্দকার, এএইচএম বজলুর রহমান, বিট্যাকের পরিচালক প্রকৌশলী মুহসিন প্রমুখ।

আইবি/এসএসএইচ