ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিসহ দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শুধু ফেসবুক ব্যবহার করছে না, ওরা ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, লিংকড ইনসহ আরও অনেক মাধ্যম ব্যবহার করছে, ফলে আমাদের শুধু ফেসবুকের দিকে খেয়াল রাখলে চলবে না। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) ডিজিটাল প্লাটফর্মে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, অস্ট্রেলিয়া শাখা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৌলবাদ প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশে যেভাবে শেকড় গেঁড়েছে, তা উপড়ে ফেলতে আমরা কাজ করছি। বিটিআরসির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের আপত্তিকর পোস্ট ও কমেন্ট মুছে ফেলার জন্য একটি অ্যাপস তৈরির পরিকল্পনা করছি। 

তিনি বলেন, ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট রিপোর্ট করে তা মুছে ফেলার ক্ষেত্রে আগে আমাদের সফলতার হার ছিল ৫ ভাগ, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ ভাগে। মৌলবাদী সন্ত্রাস নির্মূলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা অগ্রণী। আমরা সন্ত্রাস নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে সচেতন করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি যে পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই পথেই আমরা চলছি। স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে তার কর্মজীবন আমাদের কাছে পাথেয়।  

আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডা. একরাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, অস্ট্রেলিয়া শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রিতু, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতুর রহমান বেলাল, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজের সাবেক ভিপি ইফতেখার ইফতু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাবেক সভাপতি মুহিতুল ইসলাম সূজন প্রমুখ।

এমএইচএন/আরএইচ