অত্যাচার অবিচার, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সবসময়ই সোচ্চার। তারা উভয়ই ছিলেন মানবতাবাদী, সাম্যবাদী দর্শনে বিশ্বাসী। অসম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করতেন। ছিলেন স্বাধীন চিত্তের অধিকারী। মানুষের অধিকার আদায়ে আপসহীন। তাই চেতনা ও আদর্শে তারা দুজনই হলেন অভিন্ন।

রোববার (২৮ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ও ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালসের সহায়তায় এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একই আদর্শ ও চেতনায় বিশ্বাস করতেন। তারা অন্যায় অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। তারা দুজনেই সাম্যের গান গেয়েছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম লেখনীর মাধ্যমে মানবের মুক্তির গান গেয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজী নজরুল ইসলামের সেই আদর্শকে বাস্তবে রূপ দান করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বিরাট অবদান রেখেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত জনতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম। জাতীয় কবির সঙ্গে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবির লেখনী থেকে প্রেরণা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুলের মূল আদর্শই হলো মানুষকে সেবা করা, সাম্যের গান গাওয়া।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতোই তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও নজরুল ইসলামের লেখনী থেকে প্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশে নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বায়োডাটায় পিতার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম যুক্তকরণ ও  বিধবা ভাতা প্রদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চালু করেছেন।

তিনি আরও বলেন, যাদের আত্মত্যাগে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের নতুন প্রজন্মকে ধারণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুল কলেজে ভর্তির আগে এদেশে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বিষয়ে ২০ নম্বরের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। মূল আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

টিআই/এমএ