চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ মোহরা সিঅ্যান্ডবি এলাকায় ফুটপাতের ওপর সীমানা দেয়াল নির্মাণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। পাশাপাশি তিনি অনতিবিলম্বে দেয়াল সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বিনা অনুমতি বা মেয়াদোত্তীর্ণ অনুমতিপত্র দিয়ে রাস্তা কাটা হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ও ওয়াসার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা  নেওয়া হবে বলেও জানান চসিক মেয়র।  

রোববার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ১৯তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। 

রাস্তা সম্প্রসারণের ফলে বিদ্যুতের পোল রাস্তার মাঝখানে থাকায় দুর্ঘটনাসহ জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। এ ভোগান্তি নিরসনে পরিদর্শনপূর্বক দ্রুত তা অপসারণের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মেয়র।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিক নগরে যেসব সড়ক নির্মাণ করছে, সেগুলোর ধারণক্ষমতা অনেক কম। চট্টগ্রাম বন্দরের ২০ থেকে ৩০ টন বোঝাই মালামাল ট্রাক ও লরি চলাচলের কারণে সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বন্দর ব্যবহারকারী পরিবহনগুলো থেকে নিদিষ্ট হারে ট্যাক্স আদায় এবং কাস্টমের বিল অব এন্ট্রি থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে চার্জ আদায়ে মন্ত্রণালয়সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
  
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে সারাদেশের উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলে চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এ প্রকল্পগুলোর কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। প্রকল্পের মধ্যে কর্ণফুলী টানেল, মীরসরাই বিশেষ শিল্পাঞ্চল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল হলে চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্ব যেমন বেড়ে যাবে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার হাব। এ কারণে চট্টগ্রাম নগরকে যুগের সাথে তালমিলিয়ে সাজাতে হবে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরকে সাজাতে চসিকের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। গৃহকরের ওপর নির্ভর করে বিশাল অঙ্কের আর্থিক ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। সিটি করপোরেশনকে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে। চট্টগ্রাম নগরে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন করার ক্ষেত্রে চউকের উপর একক দায়িত্ব না রেখে চসিককেও দায়িত্ব দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে। 

আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করে শুকনো মৌসুমে নির্ধারিত সময়ে সড়ক উন্নয়ন কাজ করাসহ বরাইপাড়া খালের অগ্রগতি মাসিক প্রতিবেদন আকারে পেশ করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন মেয়র।  

সভায় চসিক মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা প্রদান করায় নগরবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়। 

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ। 

কেএম/আরএইচ