নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে কোনো সরকারি কর্মচারীকে বদলি করা যাবে না। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব খোরশেদ আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মূলত ভোটের ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।

তিনি জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৪৪ই অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়া ৪৪ই অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কর্মকর্তাবৃন্দকে স্ব-স্ব কর্মস্থল থেকে বদলি করা যাবে না।

এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের অবশ্য কর্তব্য। নির্বাচনী সময়সূচি জারির পর নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩নং আইন) এর ৪ (৩) ধারা অনুসারে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী স্বীয় চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে নিয়োজিত আছেন বলে বিবেচিত হবেন। ওই আইনের ৪(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে বাধা দিতে বা বিরত রাখতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

তফসিল অনুযায়ী, এ উপ-নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৩ সেপ্টেম্বর, বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, আপিল ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ১৯-২১ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২২ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ১২ অক্টোবর।

এর আগে গত ২৪ জুলাই সংসদ সচিবালয়ের সচিব কেএম আব্দুস সালাম আসনটি শূন্য ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯/২৩ জুলাই ২০২২ তারিখ মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৩ গাইবান্ধা-৫ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে শূন্য আসনটিতে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এসআর/এসএসএইচ