বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিচয়পত্র পেশ করেন ইউএনডিপির নতুন আবাসিক প্রতিনিধি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে স্টেফান লিলার বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে স্টেফান লিলার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে উত্তরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইউএনডিপির পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।

সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং কাউকে পেছনে ফেলে না যাওয়ার চেতনায় বাংলাদেশে ইউএনডিপির কর্মসূচি নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন, বৈষম্য হ্রাস, যুব কর্মসংস্থান, জলবায়ু কার্যক্রম, পরিবেশ সুরক্ষা ও জ্বালানি সক্ষমতার মতো বিষয়কে গুরুত্ব দেয়।

সুইডেনের নাগরিক স্টেফান লিলার ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জির স্থলাভিষিক্ত হলেন। স্টেফান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। সংঘাত, সংঘাত-পরবর্তী, নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশের প্রেক্ষাপটে কাজ করার প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। আর্থসামাজিক উন্নয়ন, লিঙ্গ, উন্নয়ন অর্থায়ন, জ্বালানি ও পরিবেশ, সুশাসন ও আইনের শাসনে তার নীতিগত ও বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে।

বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের আগে স্টেফান উরুগুয়েতে ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে এবং এর আগে মলদোভায় ইউএনডিপি ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব লজ এবং মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

এনআই/ওএফ