কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (এআইপি) সুবিধাদি সংসদে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গত ২০২২ সালের ২৭ জুলাই ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা ২০২০’ দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই এ সম্মাননা দেওয়া হবে। 

বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের একে এম রহমতুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচটি ক্যাটাগরিতে (বিভাগে) সর্বোচ্চ ৪৫ জনকে এআইপি দেওয়া যাবে।

১. বিভাগ ‘ক’- কৃষি উদ্ভাবন (জাত/প্রযুক্তি)— সর্বোচ্চ ১০ জন ; ফসল উপখাত থেকে ৫ জন, মৎস্য উপখাত থেকে ২ জন, প্রাণিসম্পদ উপখাত থেকে

২ জন এবং বন উপখাত থেকে ১ জন।

২. বিভাগ ‘খ’- কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প— সর্বোচ্চ ১৫ জন ;

৩. বিভাগ ‘গ’- রপ্তানিযোগ্য কৃষি পণ্য উৎপাদন— সর্বোচ্চ ১০ জন ;

৪. বিভাগ ‘ঘ’- স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কৃষি সংগঠন— সর্বোচ্চ ৫ জন ;

৫. বিভাগ ‘ঙ’- বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক— সর্বোচ্চ ৫ জন।

এআইপিরা যেসব সুবিধা পাবেন

১. এআইপি কার্ডের সঙ্গে মন্ত্রণালয়  থেকে একটি প্রশংসাপত্র;

২. এআইপিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস পাবেন;

৩. বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি বা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন;

৪. বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার পাবেন;

৫. একজন এআইপির ব্যবসা বা দাপ্তরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন ইস্যু করবে;

৬. একজন এআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, মাতা, পিতা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন; এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।

সুবিধাদির স্থায়িত্ব

এআইপির সুবিধাদি এক বৎসর কার্যকর থাকবে। এআইপি সম্মাননা প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে কৃষি উন্নয়নে সংশ্লিষ্টরা অনুপ্রাণিত হয়ে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবেন বলেও আশা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

এসআর/আরএইচ