রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে শাওন পেদা (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমাইয়াকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাওন। 

বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির রাশেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত শাওন পেশায় পিকআপভ্যান চালক ছিলেন। ১০ মাস আগে প্রেম করেন সুমাইয়া আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সুমাইয়া জানতে পারে শাওনের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং এক সন্তান আছে। বিষয়টি জানার পর থেকেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।  পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাসায় থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে শাওনের পেটে আঘাত করেন সুমাইয়া। পরে সুমাইয়া তাকে উদ্ধার করে মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতে মারা যান শাওন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহত শাওনের স্ত্রী সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারালো ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাড়ি পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বরুনবাড়িয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত মজিবর পেদার ছেলে।

এসএএ/এসকেডি